Monday 22 October 2012

মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলায়হে ওয়া সাল্লাম

 




মিলাদুন্নবী
(সাল্লাল্লাহু আলায়হে ওয়া সাল্লাম)
সম্পর্কে উত্থাপিত প্রশ্ন সমূহ ও তাদের উত্তর ।









লেখক
মুফতী নুরুল আরেফিন রেযবী আযহারী
এম.এ(ডবল),রিসার্চ(আযহার ইউনিভারসিটি,মিসর),
ডিপ্লোমা ইন ইংলিশ(আমেরিকা ইউনিভারসিটি ,কায়রো)






মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলায়হে ওয়া সাল্লাম সম্পর্কে উত্থাপিত প্রশ্ন সমূহ ও তাদের উত্তর ।
প্রশ্নঃ-১ হুযুর পাক সাল্লাল্লাহু আলায়হে ওয়া সাল্লামের আগমন বা মিলাদুন্নবীর উদ্দেশ্যে  খুশি উদযাপন করার  কোন দলীল কি কোরানে রয়েছে ?
উত্তরঃ- হ্যাঁ,কোরান শরীফে আল্লাহ তায়ালার তরফ হতে নেয়ামাত প্রাপ্তির উদ্দেশ্যে খুশি মানানোর হুকুম বিদ্যমান ।আর নবী পাক সাল্লাল্লাহু আলায়হে ওয়া সাল্লাম হলেন আল্লার তরফ হতে উম্মতের জন্য শ্রেষ্ঠ নেয়ামত,তাই হুযুর পাক সাল্লাল্লাহু আলায়হে ওয়া সাল্লামের আগমন উদ্দেশ্যে খুশি মানানো প্রত্যেক মুসলমানের জন্য আবশ্যিক ।
 ১.সুরা ইউনুস ১১ পারা ৫৮ নং আয়াতে আল্লাহ ইরশাদ করেন  قُلْ بِفَضْلِ اللَّهِ وَبِرَحْمَتِهِ فَبِذَلِكَ فَلْيَفْرَحُوا هُوَ خَيْرٌ مِمَّا يَجْمَعُونَ হে হাবিব (সাল্লাল্লাহু আলায়হে ওয়া সাল্লাম আপনি বলে দিন,মুসলমানগণ যেন আল্লার নেয়ামত ও রহ মত পাওয়ার কারনে যেন খুশি মানায়,যা তাদের যাবতীয় সম্পদ হতে উত্তম
তফসীরে রুহুল মানী তে উক্ত আয়াতের ফযল ও রহমত শব্দ দ্বয়ের অর্থে হুযুর পাক সাল্লাল্লাহু আলায়হে ওয়া সাল্লামের নাম উল্লেখ করা হয়েছে ।
২.সুরা দোহায় আল্লাহ ইরশাদ করেন وَأَمَّا بِنِعْمَةِ رَبِّكَ فَحَدِّثْ আল্লাহর তরফ হতে প্রাপ্ত নেয়ামতের খুব চর্চা কর
অত এব , এটা প্রমাণ হল যে, হুযুর পাকের শুভাগমন বান্দাদের জন্য শ্রেষ্ঠ নেয়ামত আর সেই উদ্দ্যেশে খুশি মানানো প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর হুকুম পালন করা,আর এর বিরোধিতা বা অমান্য করা মানে প্রকৃত পক্ষে আল্লাহর হুকুমের অমান্য করা ।

প্রশ্নঃ-২ হুযুর পাক সাল্লাল্লাহু আলায়হে ওয়া সাল্লামের সঠিক জন্ম তারিখ সমন্ধে ওলামায়ে কেরামগণের মন্তব্য কী ?
উত্তর -রসুলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলায়হে ওয়া সাল্লামের জন্ম মোবারক ১২ ই রবিউল আওয়াল তারিখে হয়েছিল । ইমাম আবু ব ক র বিন আবি সাঈবা বন র্না ক রেছেন যা আম্মান হতে বণির্ত তিনি সাঈদ বিন মিনার হতে বন র্ণা ক রেছেন যা হয রত জাবের এ বং হয র ত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু হতে বণির্ত হুযুর পাক সাল্লাল্লাহু আলায়হে ওয়া সাল্লামের জন্ম হস্তির বছর ১২ ই রবিউল আওয়াল তারিখে সোম বারের দিন হয়েছিল । (সি রাতুন নবুবিয়াহ ইবনে কাসির ১ম খন্ড ১৯৯ পৃঃ,আল বেদায়া ওয়ান নেহায়া ২য় খন্ড ২৬০ পৃঃ)
ইমাম ইবনে জারীর তা ব রাণীর ম ন্তব্যঃ-
ইব নে জারীর তা ব রানী লিখেছেন রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হে ওয়া সাল্লামের জন্ম রবিউল আওয়ালের ১২ তারিখে হ স্তির ব ছর হয়েছিল । (তারিখে তাবারী ২য় খন্ড ১২৫ পৃঃ)
মোহাম্মদ বিন ইসাহক্ব ও ইমাম ইব নে হেশামের ম ন্তব্যঃ-
ইমাম ইবনে হেশাম মোহাম্মদ বিন ইসাহক্ব হতে নক ল ক রে ব লেছেন রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলায়হে ওয়া সাল্লামের জন্ম মোবারক ১২ ই রবিউল আওয়াল শ রীফে হস্তীর বছ্র হয়েছিল । (আসসিরাতুন নবুবিয়াহ ১ম খন্ড ১৮১ পৃঃ)
মোহাম্মদ ইবনে জওযীর ম ন্তব্যঃ-
মোহাদ্দীস ইবনে জওযী লিখেছেন যা ইমাম ইবনে ইসাহক্ব বণ র্না ক রেছেন হুযুর সাল্লাল্লাহু আলায়হে ওয়া সাল্লামের জন্ম সোমবারের দিন রবিউল আওয়াল মাসে হস্তী বছ র হয়েছিল ।(আল ওফা ১ম খন্ড ৯০ পৃঃ,সাব লুল হুদা অয়ার রসাদ ১ম খন্ড ৩৩৪ পৃঃ)
আল্লামা ইবনে খালদুনঃ-
তিনি বনর্ণা করেছেন রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হে ওয়া সাল্লামের জন্ম হস্তীর বছর ১২ ই রবিউল আওয়ালে হয়েছিল ।
হাফিজ ইবনে ফাতাহ আশ শাফেয়ী ম ন্তব্য
ইমাম ইবনে ফাতাহ বন র্না ক রেছেন আমাদের স র্দার এবং আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলায়হে ওয়া সাল্লাম  এর জন্ম মোবারক সোম্বারের দিন ১২ ই রবিউল আওয়াল তারিখে  হস্তীর বছর হয়েছিল ।(উ উন আল আসার ১ম খন্ড ২৬ পৃঃ)
ইবনে হাজার মাক্বীঃ-
ইমাম ইবনে হাজার মাক্বী আলায়হে রহমা বনর্ণা ক রেছেন হুযুর সাল্লাল্লাহু আলায়হে ওয়া সাল্লামের জন্ম সোমবার রাত্রে রবিউল আওয়ালের ১২ তারিখে হয়েছিল ।(আন নেমাতুল কুব রা ২০২ পৃ)
ইমাম হাকিমঃ-
ইমাম মাগাজী মোহাম্মাদ বিন ইসাহক্ব হতে বনর্ণা ক রেছেন হুযুর সাল্লাল্লাহু আলায়হে ওয়া সাল্লামের জন্ম রবিউল আওয়ালের ১২ তারিখে হয়েছিল ।
ইমাম বুরহানুদ্দীন হালাবী ঃ-
ইমাম বুরহানুদ্দীন হালাবী ব ন র্ণা ক রেছেন হ য রত সাঈদ বিন মুসায়েব হতে বণির্ত হুযুর সাল্লাল্লাহু আলায়হে ওয়া সাল্লাম রাত ও দিনের মধ্যবত স ময়ে রবিউল আওয়ালের ১২ তারিখে জন্মেছিলেন ।(সিরাতুল হালাবীয়া ১ম খন্ড ৫৭ পৃঃ)
ইমাম বায়হাক্বীঃ-
প্রশিদ্ধ মোহাদ্দেস ইমাম বায়হাক্বী লিখেছেন হুযুর সাল্লাল্লাহু আলায়হে ওয়া সাল্লাম সোমবারের দিনে ১২ ই রবিউল আওয়ালে জন্মগ্রহন করেছিলেন । (দালায়েলুল নবুওত ১ম খন্ড ৭৪ পৃঃ)
ইমাম ইবনে হাব্বানঃ-
ইমাম ইবনে হাব্বান বন র্ণা করেছন হুযুর পাক সাল্লাল্লাহু আলায়হে ওয়া সাল্লামের জন্ম হস্তীর বছর সোম্বারের দিন ১২ ই রবিউল আওয়ালে হয়েছিল।(সিরাতুন নবুবীয়া ৪ থ খন্ড ৩৩ পৃঃ)
ইমাম সাখাবীঃ-
প্রশিদ্ধ ইমাম সাখাবিঃ-
প্রশিদ্ধ মোহাদ্দেস ইমাম সাখাবী রহমাতুল্লাহ আলায় লিখেছেন হুযুর পাক সাল্লাল্লাহু আলায়হে ওয়া সাল্লামের জন্ম হস্তীর বছর সোম্বারের দিন ১২ ই রবিউল আওয়ালে   ফজরের স ময় হয়েছিল ।
ইবনে কাসীরঃ-
শারহে মোওয়াহিবের মধ্যে ইবনে কাসীর হতে বণির্ত অ ধিকাংশ ওলামার নিকট ১২ই রবিউল আওয়াল তারিখ ই প্রশিদ্ধ ।

প্রশ্নঃ-৩ হুযুর পাক সাল্লাল্লাহু আলায়হে ওয়া সাল্লামের ওফাত দিবস সমন্ধে ওলামায়ে কেরামদের মধ্যে কি কোন দ্বিমত আছে ? এবং স ঠিক মত কোনটি ?
 উত্তরঃ-হ্যাঁ,অলামায়ে কেরামদের মধ্যে হুযুর পাক সাল্লাল্লাহু আলায়হে ওয়া সাল্লামের অফাত দিবস স ম ন্ধে কয়েকটি মত বিদ্যমানঃ-
১. ১২ ই রবিউল আওয়ালঃ-জমহুর (অধিকাংশ) ওলামাদের নিকট গ্রহণ যো গ্য মত হ ল হুযুর পাক সাল্লাল্লাহু আলায়হে ওয়া সাল্লামের ওফাত দিবস হ ল ১২ ই রবিউল আওয়াল ।
২. ১লা রবিউল আওয়ালঃ-এই তারিখ ব্যক্তকারীদের মধ্যে হলেন কয়েকজন সাহাবী যেমন হযরত আবদুল্লা ইবনে আব্বাস,হয রত আনাস বিন মালেক (রাদিয়াল্লাহু আনহুমা),কয়েকজন তাবেয়ী হযরত সাঈদ বিন মুসাইব,ইমাম সুলায়মান ও আন্তারা (রাদিয়াল্লাহু আনহুম আজমাঈন) {তফসীর জামেউল বায়ান,তাবারী ৬ খন্ড ৫১ পৃঃ,তারিখুল উমাম ওয়াল মুলক ৩য় খন্ড ১৯৭ পৃঃ}
৩. ২রা রবিউল আওয়ালঃ-বিখ্যাত ইমাম ইবনে হাজার আস্কালানি বিস্তারিত ব্যাখ্যা করে প্রমাণ করেছন যে,হুযুর পাক সাল্লাল্লাহু আলায়হে ওয়া সাল্লামের অফাত দিন ছিল ২রা রবিউল আওয়াল । (ফতহুল বারী শারহে বোখারী ৮ম খন্ড ১৩০ পৃঃ)
৪.  ১৩ই রবিউল আওয়ালঃ-বিশিষ্ঠ মোহাক্বীক,চিন্তাবিদদের ও অলামাদের মতে এই তারিখ ই হল হুযুরের অফাত মোবারকের স ঠিক তারিখ,যা ইমাম বারুযী,ইমাম ইমাদুদ্দিন বিন কাসির এবং ইমাম বদরুদ্দিন বিন জামায়া প্রমুখ গবেষণা করে বলেছেন
    পরিশেষে বলা যায়,স ঠিক ব্যাখার দ্বারা বিশিষ্ঠ ওলামায়ে কেরাম সাবস্ত্য করেছেন চাঁদের হিসাবে ওই দিন মক্বা শরীফে ১৩ রবিউল আওয়াল ছিল এবং মদিনা শ রীফে চাঁদ না দেখা যাওয়াই ১২ ই রবিউল আওয়াল ছিল ।(ফতওয়া রেযবীয়া,রেসালা নুতকুল হেলাল...২য় অধ্যায়৯২পৃঃ)

প্রশ্নঃ-৪ একই দিনে হুযুর সাল্লাল্লাহু আলায়হে ওয়া সাল্লাম ওফাত হয়েছিল কিন্ত সে কারনে দুঃখ কেন মানানো হয় না ।
উত্তরঃ- উম্মতদের জন্য হুযুর আগমন ও প্রস্থান দুই-ই এক,হযরত আব্দুল্লা বিন মাসউদ বনর্ণা করেছেন হুযুর ব লেছেন আমার প্রকাশ্য জিন্দেগী এবং আমার বেসাল দুই-ই তোমাদের জন্য উত্তম ।(শেফা শ রীফ ২য় খন্ড ১৯ পৃঃ)
  অপর স্থানে এর হিকমত প্রসজ্ঞে বণীর্ত হয়েছে যখন আল্লাহ তায়ালা কোন উম্মতের উ প র নিজের খাস ক র ম ক র তে চান ত খন সেই উম্মতের মধ্য থেকে নবীকে বেসাল করিয়ে নেন,এবং তিনি ওই উম্মাতের জন্য শাফায়াতের মাধ্যম হয়ে যান।(মুস লিম শ রীফ )
এ ছাড়াও তাঁর বেসাল এমনটি নয় যে উম্মতের সাথে উনার সম্পর্ক বিচ্ছেদ হয়ে গেছে বরং উনার ফায়জানে নবুওত ক্বীয়ামত পযন্ত জারী থাকবে এবং তাঁর বারযাখী জিন্দেগী দুনীয়াবী জিন্দেগী হতে অধিক হায়াতের মালিক। যেমন ভাবে মোল্লা আলী ক্বারী বন র্না ক রেছেন এখানে না ম ওত না  ওফাত বরং এক অবস্থান থেকে অন্য অবস্থায় গ ম ন ।


প্রশ্নঃ-৫  ৩৩ বছর যাহেরী যামানায় ১২ ই রবিয়ল আওয়াল মানানো ও যুলুস বের করার কি কোন প্রমান আছে ?
উত্তরঃ সর্ব প্রথম মিলাদের ব্যব হারিক অভিধানিক অ র্থ জানা প্র য়োজন,অভিধানে মিলাদ শব্দের অর্থ  জন্মের সময় কাল এ বং ব্যবহারিক অর্থ হুযুর পাক জন্মের খুশিতে তাঁর মুযেজা ,বশিস্ট্য ,জিবনী প্রভৃতি বায়াণ করা-এবং স রকার নিজেই নিজের মিলাদ শ রীফ মানিয়েছেন,হাদিসঃ-হয রত আবু কাতাদাহ বনর্ণা ক রেন যে,হুযুর কে জিজ্ঞাসা করা হ ল ইয়া রাসুলাল্লাহ আপনি সোম্বারের দিন কেন রোযা রাখেন,হুযুর ইরশাদ করলেন ওই দিন আমার জন্ম হয় ,এবং ওই দিন-ই আমার উপর ওহী নাযীল হয়।(মুস লিম ২য় খন্ড ৮১৯ পৃঃ,হাদিস নং১১৬২,ইমাম বায়হাকী আস সুনানুল কুব্রা ৪ থ খন্ড ২৮৬ পৃঃ,হাদিস নং ৮১৮২) এ ছাড়াও হাদিস হতে প্রমাণিত স্বয়ং হুযুর নিজের জন্মের খুশির উদ্দেশ্যে ছাগল যবাহ করেছিলেন ।(ইমাম সুয়ুতী আল হাবিলুল ফাতোয়া ১ম খন্ড ১৯৬ পৃঃ,হুস্নুল মাকাসিদ ফি আমালিল মোলিদ ৬৫ পৃঃ,ইমাম নাব হানী হুজ্জাতুল্লাহে আলাল আলামীন ২৩৭ পৃঃ)
 তাহ লে বোঝা গেল মিলাদ শরীফ পালন ক রা হুযুরের সুন্নাত এ ছাড়া যুলুস প্রসজ্ঞে এটা ব লা হয় যামানার উন্নতির সাথে সাথে মিলাদের ব্যবস্থার উন্নতির উদ্দেশ্য এটা প্রচলিত হয়েছে। প্রথম দিকে মিলাদ শ রীফ এ রুপ হ ত সাহাবায়ে কেরাম মিলাদ শ রীফে জমায়াত হয়ে হুযুরের প্রশংসা ,স্বাদকা,খয় রাত ক র ত।
প্রশ্নঃ-৬ সাহাবায়ে কেরাম হুযুর পাক সাল্লাল্লাহু আলায়হে ওয়া সাল্লাম সামনে যে মিলাদ মানিয়েছিলেন তার প্রমান কি আছে ?
উত্তর,জি হ্যাঁ ,সাহাবায়ে কেরাম গ ন হুযুর পাকের সামনে মিলাদ মানিয়ে ছিলেন এবং হুযুর তা বারণ ক রেন নি ব রং খুশি হয়েছিলেন। সুত রাং প্রশিদ্ধ  সাহাবী যেম ন হয রাত হাসসান বিন সাবেত রাদিয়াল্লাহু আনহুর জন্য মেম্বার ক রা হ য়। এবং তিনি ওই মেম্বারে উঠে হুযুরে তারিফ প্রশংসা করে বিভিন্ন শের পাঠ ক রতেন,এবং হুযুর হায রাত হাসসানের জন্য দোওয়া ক রতেন এ রুপ ভাবে হে আল্লাহ হায রাত হাসসান কে তুমি জীব্রাইলের দ্বারা মাদাদ ক র( স হী হ বোখারি ১ম খন্ড ৬৫ পৃঃ)
প্রশ্নঃ-৭মক্কায় পুরাতন ব্যবস্থায়  মিলাদ কি প্রচলন ছিল?
উত্তর; হ্যাঁ,প্রচলন ছিল,মুহাদ্দিস ইবনে জওযী বনর্ণা ক রেছেন হারামাইন শ রিফাইন মক্কা মদিনার বাসিন্দারা ,মিস র,ইয়ামান ,শাম এম ন কি স মস্ত আরবের পূব্ব হতে প শ্চিম পয র্ন্ত মুস ল্মানদের মধ্যে এ রুপ প্রথা প্রচলন ছিল যে,রবিউল আওয়াল মাসের চাঁদ দেখা মাত্র ই মিলাদের মহ ফিল সাজাত,খুশি মানাত ,গোসল ক রত পবিত্র সুন্দর কাপড় ব্যব হার ক রত,বিভিন্ন মিস্টাণ্ণ  প্রস্তুত ক র ত খ রচ ক রত,মিলাদ শ রীফ পাঠ ক র ত ও সুন ত এ স ক ল দ্বারা অ ধিক সাওয়াবের অধিকারি হত ।
প্রশ্ন-৮ মিলাদ শরীফ স ম্পর্কে হাদিসে কি ভাবে এসেছে ?
 উত্তর - মিলাদ সম্পর্কিত কয়েকটি হাদিস শরীফঃ
 প্রশিদ্ধ হাদিসে বনিত হায রাত উম্মুল মুমিনিন আয়েশা সিদ্দিকা বন র্ণা ক রেছেন যে রসুল পাক এবং আবু বকর সিদ্দিক আমার নিকট নিজ নিজ মিলাদ শরীফের ব ন র্না ক রে ছেন (ইমাম বায়হাকী এই ব ন র্ণাটি কে হাসান ব লে ছেন) (আল যামুল কাবীর লিত তাব্রানী ১ম খন্ড ৫৮ পৃ,মযমাঊল যাওয়াঈদ ৯ম খন্ড ৬৩ পৃঃ)
                         হুযুর পাক নিজের মিলাদ ব ন র্ণা করে ব লেন অবশ্য ই আমি আল্লাহর নিকট খাতিমুল নব্বীইন নিব্বাচিত হয়েছি ওই স ময় যে স মট খাতিমুল নব্বীইন নিব্বাচিত হয়েছি ওই স ময় যে স ম য় হ আদাম মাটি ও পানীতে মিশ্রিত অ ব স্থায় ছিল। আমি তোমাদের কে আবার প্রাথমিক অবস্থার খ ব র দিচ্ছি-আমি হচ্ছি হায্রার আদাম দুয়া ও হয রত ঈসা আলায়হে সাল্লামের খুশির বার্তা আমার মাতার স্বপ্ন যা তিনি আমার জন্মের স ময় দেখিয়েছিলেন যে উনার মধ্য হতে এক টি নুর নিগর্ত হয়েছে  যার দ্বারা সাম দেশের ব হু ম হ ল র ওশন হয়ে গেছে।( মিশকাতুল মাসাবিহ ৫১৩ পৃঃ।তারিখে মাদিনা ও দামাশক ইবনে আশাকিড় ১ম খণ্ড ১৬৮ পৃ,কানযুল উম্মাল ১১খন্ড১৭৩ পৃঃ,মুস্নাদে ইমাম আহ্মদ ৪ খন্ড ১৬১ পৃ,আল মুজমাল ক্বাদির ১৮ খন্ড ২৫৩ পৃঃ,মুস্নাদ আফযার হাদিস নং ২৩৬৫,তাফসির দুররে মান্সুর ১ম খন্ড ৩৩৪ পৃঃ,মাওয়ারেদুল জাম্মান১ খন্ড ৫১২ পৃঃ,স হী ইবনে হাব্বান ৯ম খন্ড ১০৬ পৃঃ,আল মুস্তাদ্রাক লিল হাকিম ৩য় খণ্ড ২৭ পৃঃ ,আল বেদায়া অয়ান নেহায়া ২য় খণ্ড ৩২১ পৃঃ,মাযমাউল যাওয়ায়েদ ৮ম খন্ড ৪০৯ পৃ প্রভৃতি)
                         হযরত মুতাল্লিব বনর্না করেছেন যে ,হযরত আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু রসুল বারগাহে কিছু প্রশ্ন নিয়ে হাযির হলেন,প্রশ্ন করার পুবেই হুযুর মেম্বারের মধ্যে আরোহন করে বলেন যে আমি কে? প্রত্যুত্তরে স ক লে উত্তর দিলেন আপনার উপর সালাম বষর্ন হোক আপনি হচ্ছেন আল্লাহর রসুল হুযুরে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলায়হে ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করলেন যে, আমি আব্দুল্লার পুত্র ***** আল্লাহ তায়ালা সমস্ত মানুস কে সৃষ্টি করেছেন এবং ওই মানুষদের মধ্য থেকে উত্ত্কৃষ্ট করে আমাকে সৃষ্টি করেছেন আবার ওই গোষ্ঠীকে দুটি ভাগে ভাগ করেছেন আরব ও আযাম এবং তাদের মধ্যে অতি উত্তম করে আমাকে সৃষ্টি করেছেন পুন রায় ওই ভাগ হতে কাবিলা তেরী করেছেন এবং তাদের মধ্যে উত্তম কাবিলায় আমাকে সৃষ্টি করেছেন অত এব আমাকে ঘর এবং নসবের মধ্যে উত্তম করে সৃষ্টি করেছেন (জামে তীরমিযী ২য় খন্ড ২০১ পৃঃ,মুস্নাদে ইমাম আহমদ ১ম খন্ড ৯ পৃঃ,দালায়েলুল নবুওত বায়হাকী ১ম খন্ড ১৬৯ পৃ,কানযুল উম্মাল ২য় খন্ড ১৭৫ পৃঃ)
                         প্রশ্নঃ-৯  ঈদে মিলাদুন্নবী র দিন মুসলমানেরা রোযা রাখতে পারে কী?
 উত্তরঃ- হ্যাঁ,রোযা রাখতে পারে,বহু লোক ওই দিন রোযা রেখে সুন্নাতে মুস্তাফা পালন করে । পুর্বে বণির্ত হয়েছে যে ওই দিনের রোযা সুন্নাত ।
প্রশ্নঃ-১০  ঈদে মিলাদুন্নবী র দিন বহু লোক ভাল ভাল খাবার প্রস্তুত করে নিয়াজ ফাতেহা দেয়-এই রুপ কাজ কি শরীয়তে জায়েয ?
উত্ত রঃ-হ্যাঁ,অবশ্য ই জায়েয।যে যত বেশি করে এই দিনে ফাতেহা,নিয়াজ,দান-খয়রাত প্রভৃতি করবে সে তত বেশি সাওয়াবের অধিকারি হবে ।

প্রশ্নঃ-১১ এ সকলের সাওয়াব কি হুযুরের নিকট পৌঁছায় ? এবং এ সম্পর্কে দলীল কি আছে?
উত্তরঃ- হ্যাঁ, পৌঁছায় ।
যেমন ভাবে কোরান শরীফে বণির্ত হয়েছে সুরা হজের মধ্যে যে,আল্লার নিকট কখন ই গোস্ত ও রক্ত পৌঁছায় না,হ্যাঁ তোমাদের পরহেজগারি পৌঁছায়...।(সুরা হজ ৩৭ নং আয়াত)
প্রশ্নঃ-১২ -হুযুর পাক সাল্লাল্লাহু আলায়হে ওয়া সাল্লামের শৈশব অবস্থার কিছু ঘটনাবলী বনর্না করুন যা মিলাদ শরীফে বলা প্রয়োজন এবং দলীল ভিক্তিক ?
উত্তরঃ- হুযুর পাক সাল্লাল্লাহু আলায়হে ওয়া সাল্লামের শৈশব অবস্থার কিছু গুরুত্ব পূর্ন ঘটনাবলী হ লঃ-
১.হযরত আবু ওমামা রাদিয়াল্লাহু আনহু বনর্ণা করেন হুযুর পাক সাল্লাল্লাহু আলায়হে ওয়া সাল্লাম ঈরশাদ করেছেন আমার মাতা এ রূপ বনর্ণা করেছেন যে ; আমার হতে একটি মহৎ নুর নিগর্ত হয়,এবং যার ছটায় শাম দেশের প্রাসাদ গুলিও রৌশন হয়ে যায় । (আল ওফা)
২. হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বনর্ণা করেন হুযুর পাক ঈরশাদ করেছেন আমার নাভি কাটা অবস্থায় জন্ম হয় এবং কেই আমার লজ্জাস্থান কে দেখেনি ।(আল ওফা)
     বিঃদ্রঃ-এই দুটি ঘ টনা হতে এটা সাবস্ত্য হয় যে, মিলাদুন্নবীর অনুষ্ঠানে  হুযুরের জন্ম বৃত্তান্ত  যা বনর্ণা ক রা হয় তা প্রকৃত পক্ষে হুযুরের ই সুন্নাত ।


লেখকের অন্যান্য পুস্তক সমূহ

১.তবলীগ জামায়াত প্রসঙ্গ
২.ইলমে গায়েব প্রসঙ্গ
৩.খাতিমুল মোহাক্বীকিন
৪.হযরত আমীরে মোয়াবিয়া
৫.সাওতুল হক্ব
৬.জানে ঈমান
৭.তামহীদে ঈমান তরজমা




No comments:

Post a Comment